কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মাটিতে পড়ে গেছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের বড় মেয়ে প্রিন্সেস বজ্রকিতিয়াভা। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে থাই রাজপ্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

পরে ৪৪ বছর ব্য়সী এই রাজকন্যাকে পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে তাকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। বুধবার রাতে রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়া রাজকন্যার শারীরিক অবস্থা একরকম স্থিতিশীল রয়েছে।

ব্যাংককের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকায় নিজের কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বজ্রকিতিয়াভা পড়ে যান বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। দেশটির কিছু গণমাধ্যমের খবরে থাই রাজকন্যার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর বলে জানানো হয়েছে।

বজ্রকিতিয়াভা রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের প্রথম স্ত্রী রাজকুমারী সোমসাওয়ালীর মেয়ে। ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে তার বাবা ভাজিরালংকর্নের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অংশ হিসেবে রয়েছেন প্রিন্সেস বজ্রকিতিয়াভা। রাজার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের মাঝে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা করা হয় তাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করেছেন প্রিন্সেস বজ্রকিতিয়াভা। রাজা ভাজিরালংকর্ন এখনও তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা করেননি। তবে দেশটিতে প্রিন্সেস বজ্রকিতিয়াভাকে সবচেয়ে যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হয়।

রাজার তিন সন্তানের একজন বজ্রকিতিয়াভা। রাজপরিবারের এই সন্তানদের মধ্যে একমাত্র তারই আনুষ্ঠানিক উপাধি রয়েছে। দেশটির ১৯২৪ সালের উত্তরাধিকার আইনের আওতায় সিংহাসনে আরোহণের জন্য যোগ্য কেবল তিনিই।

ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী থাই এই প্রিন্সেস নারী অধিকারের ক্ষেত্রেও অনেক সোচ্চার। বিশেষ করে নারী বন্দীদের জন্য বিভিন্ন সময়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বের অন্যান্য যেকোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চসংখ্যক নারী কারাবন্দী রয়েছে থাইল্যান্ডে।

২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন।

এসএস