দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালযেশিয়ায় গভীর রাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে দেশটির রাজধানীর পার্শ্ববর্তী একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধসের এই ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া এই ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ উদ্ধার হলেও এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এদিকে জীবিতদের সন্ধানে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মীরা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠে সেলাঙ্গর রাজ্যে ক্যাম্পিং সুবিধাসহ একটি জৈব খামারের কাছে রাস্তার পাশে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে বলে রাজ্যটির দমকল ও উদ্ধার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

রয়টার্স বলছে, মোট ৯২ জন গভীর রাতের এই ভূমিধসের কবলে পড়েন এবং তাদের মধ্যে ৫৩ জনকে নিরাপদে পাওয়া গেছে বলে বিভাগটি জানিয়েছে। এই ঘটনায় আটজন নিহত হওয়া ছাড়াও সাতজন আহত হয়েছেন এবং আরও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

সেলাঙ্গর রাজ্য দমকল ও উদ্ধার বিভাগের পরিচালক নোরাজাম খামিস বলেছেন, আনুমানিক ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতা থেকে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে এবং এর ব্যাপ্তি ছিল প্রায় এক একর এলাকাজুড়ে।

শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদ টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমি প্রার্থনা করছি যে, নিখোঁজদের যেন শিগগিরই নিরাপদে খুঁজে পাওয়া যায়। উদ্ধার দল শুরু থেকেই কাজ করছে। আমি আজ সেখানে যাচ্ছি।’

কুয়ালালামপুরের বাটাং কালি শহরের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) উত্তরে গেনটিং হাইল্যান্ডসের জনপ্রিয় পাহাড়ি এলাকার বাইরে বিপর্যয়কর এই ঘটনাটি ঘটে। এই এলাকাটি রিসোর্ট এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।

সেলাঙ্গর হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাজ্য এবং এর আগেও রাজ্যটি ভূমিধসের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চলে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে তবে সেখানে গত রাতে কোনও ভারী বৃষ্টি বা ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়নি।

এক বছর আগে মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

টিএম