ইউরোপের দেশ সুইডেনের ফুরুভিক চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে পালিয়ে যায় সাতটি শিম্পাঞ্জি। তবে সেগুলোকে জীবিত ধরার বদলে গুলি করা হয়। এতে তিনটি শিম্পাঞ্জি প্রাণ হারিয়েছে। অপর একটি গুরুতর আহত হয়েছে। খাঁচা থেকে পালানো এসব অবলা প্রাণীকে গুলি করে হত্যা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ পুশ করে (ট্রানকুলাইজ) এগুলোকে ধরা যেত।

ফুরুভিক চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি শিম্পাঞ্জিগুলোকে গুলি না করে চেতনানাশক ওষুধ পুশ করার চেষ্টা করা হত তাহলে মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ত। তাদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে চেতনা নাশক পুশ করা সম্ভব। কিন্তু শিম্পাঞ্জিগুলো দূরে চলে যাওয়ায় সেগুলোকে গুলি করা হয়েছে।

সাতটির মধ্যে আরও তিনটি শিম্পাঞ্জিকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি।

প্রাণী বিশেষজ্ঞ মাথিয়াস ওসাভ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, শিম্পাঞ্জি নিরীহ একটি প্রাণী। সাধারণ মানুষের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না এটি। তিনি বলেছেন, ‘যদি শিম্পাঞ্জিগুলোকে কোনো পার্কে আমি দেখতাম তাহলে আমার ভয় কাজ করত। কিন্তু নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হতাম না। এটি একটি ট্র্যাজেডি।’

এদিকে শিম্পাঞ্জিগুলোর খাঁচা থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং গুলির ঘটনা ঘটে গত বুধবার। তবে কিভাবে এগুলো পালিয়ে গেছে এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বর্তমানে চিড়িয়াখানাটি বন্ধ আছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া এসব শিম্পাঞ্জি এখনো সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। তাই চিড়িয়াখানার কর্মচারীদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই