রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ফাইল ছবি)

বেলারুশ দখলে রাশিয়ার ‘কোনও আগ্রহ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি এই মন্তব্য করেন। মস্কোর প্রতিবেশী এই দেশটি সস্তা তেল এবং ঋণের জন্য রাশিয়ার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দখলদারিত্ব নিয়ে সমালোচকদের কাছ থেকে নানা গুজব শুনতে পাওয়ার কথা তুলে ধরে একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে পুতিনকে প্রশ্ন করেন।

জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার কাউকে দখল করে নেওয়ার কোনও আগ্রহ নেই, এর কোনও মানে হয় না।’

রয়টার্স বলছে, বছরের পর বছর ধরে বেলারুশের সঙ্গে একীভূতকরণকে আরও গভীর করার চেষ্টা করেছে ক্রেমলিন। কিন্তু দেশটির শক্তিশালী নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রধান মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একীকরণকে প্রতিরোধ করে আসছেন।

এদিকে ‘অভিন্ন ইতিহাস এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের মাধ্যমে একত্রিত ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং কৌশলগত অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন পুতিন’। তিনি বলেছেন, ‘বন্ধুত্বহীন দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞাগুলোকে আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করছি এবং আমরা এটি বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে ও কার্যকরভাবেই করি।’

রাশিয়া ও বেলারুশ ‘সকল ক্ষেত্রে’ সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে বলেও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন। এর মধ্যে সামরিক খাতও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া দুই দেশ ‘উভয় দেশের নিরাপত্তার জন্য যৌথ ব্যবস্থা’, অবিরত যৌথ প্রশিক্ষণ এবং ‘পারস্পরিক অস্ত্র সরবরাহ’ করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়া বেলারুশিয়ান ক্রুদের এমন বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে যা পারমাণবিক হেড বহন করতে পারে।

অন্যদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘আমরা সেই বিমানগুলো পরীক্ষা করেছি এবং এটি কারও জন্য হুমকি নয়।’

বেলারুশিয়ান নেতা রাশিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্কেরও প্রশংসা করেছেন। লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের ছাড়া কোথাও যেতে পারবে না, আমরাও রাশিয়া ছাড়া কিছুই করতে পারব না’

এসময় তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘আমরা কি রাশিয়াকে ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম? না!’

টিএম