এশিয়ার দেশ চীনে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উদ্ভব হয় করোনা ভাইরাসের। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার পর ২০২০ সালে থমকে গিয়েছিল স্বাভাবিক কাজকর্ম। ধীরে ধীরে সবকিছু আগের অবস্থানে ফিরলেও, প্রায় দুই বছর পর এখনো মানুষের জন্য চিন্তার বড় একটি কারণ করোনা।

সাম্প্রতিক সময়ে চীনে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে দেশটিতে ছড়াচ্ছে ভাইরাসটির নতুন ধরন বিএফ.৭। এটি ওমিক্রনের বিএ.৫ এর একটি উপধরন। উচ্চ সংক্রামক নতুন ধরনটি চীনে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণ কী?

বিএফ.৭ ধরন

বিএফ.৭ ধরনটি অতি সংক্রামক এবং ভাইরাসটি, সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংক্রমিত করে ফেলে। করোনায় আক্রান্তদের আবারও আক্রান্ত করা এবং ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও নতুন ধরনে সহজে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।

সেল হোস্ট এন্ড মাইক্রোব নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএফ.৭ ধরনটি চীনের উহানে সৃষ্ট করোনার প্রথম ধরনের চেয়ে ৪ দশমিক ৪ গুণ শক্তিশালী (নিউট্রাইলাজেশন রেসিসটেন্ট)। আর এর মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়া উচ্চ রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ব্যক্তিরাও সহজে নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।

এদিকে চীনের প্রতিবেশী ভারতে এখন পর্যন্ত বিএফ.৭ ধরনে আক্রান্ত চারজন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুইজন গুজরাট ও দুইজন উড়িষ্যার বাসিন্দা। ভারত ছাড়াও জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।

নতুন ধরনটি আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। এছাড়া উপসর্গ হিসেবে জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দি এবং কাশি দেখা দেয়।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই