ভারতের করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খবর বেরোতেই নড়েচড়ে বসেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

বৈঠক শেষে সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না করা হলেও তা পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কোভিড টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এদিকে এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, শিগগিরই ভারতে করোনার তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজ হিসেবে ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

বর্তমানে চীনে যে ভয়ঙ্কর নয়া ভ্যারিয়েন্ট ফের করোনার ত্রাসে পরিণত করেছে, সেই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ভারতে। ভারতে মোট ৪ জন এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন গুজরাটের বাসিন্দা এবং দুজন উড়িষ্যার বাসিন্দা। এই পরিস্থিতি নিয়েই ছিল এদিনের বৈঠক।

বৈঠক শেষে অবশ্য সরকারের তরফ থেকে কাউকে আতঙ্কিত না হতে বলা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং নীতি আয়োগের প্রধান ভিকে পাল।

বৈঠকে সবাইকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। হাসপাতাল পরিকাঠামো অর্থাৎ অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর ইত্যাদির বন্দোবস্ত যেন যথাযথ থাকে এ নিয়ে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে যেকোনো সময় পরিস্থিতি উদ্ভূত হলে তার মোকাবিলা করা যায়।

এই মুহূর্তে ভারতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ যে একেবারেই তলানিতে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। এখন দৈনিক গড় সংক্রমণ ১৫৩ জন। কিন্তু বাকি বিশ্বে চিত্রটা ভিন্ন। গত ৬ সপ্তাহে ৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে করোনা বিধি মেনে চলার পাশাপাশি জনবহুল স্থানে মাস্ক পরে থাকা ও তৃতীয় ডোজ নেওয়ার ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছেন মোদি।

এদিকে ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। আগামী সপ্তাহেই এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। 

কেএ