দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে তরল গ্যাসবাহী একটি ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। কারণ এখনো অন্তত ১৯ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যাদের প্রত্যেকের অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন।

এই ১৯ জন ছাড়াও আরও ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তারাও মারাত্মক জখম হয়েছেন।   

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জোহানেসবার্গের বোকসবার্গ শহরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তরল গ্যাসবাহী ট্যাংকারটি। ওই সময় রাস্তার ওপর থাকা নিচু একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এটির।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে তাম্বো মেমোরিয়াল নামক একটি হাসপাতাল রয়েছে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর প্রভাবে হাসপাতালের ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। এরপর হাসপাতালের ভেতর থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

দুর্ঘটনার ব্যাপারে জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র উইলিয়াম এনতাদি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, একটি গ্যাস ট্যাংকার সাবওয়ে সেতুর নিচ দিয়ে যাচ্ছিল এবং সেখানে এটির ধাক্কা লাগে। ঘর্ষণের কারণে, এটিতে আগুন ধরে যায়।’

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ঠিক তখনই ট্যাংকারটি আরেকবার বিস্ফোরিত হয়। যা ছিল ভয়াবহ। দ্বিতীয়বারের বিস্ফোরণটি কেউ একজন ক্যামেরায় ধারণ করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়—  বিস্ফোরণে একটি ফায়ার ইঞ্জিন এবং দুটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাইকেল কুলিনজি নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটি যেন বোমার চেয়েও বেশি কিছু ছিল।’

জিন ম্যারি বয়সেন নামে অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন. ‘আমার মনে হয়েছিল রিখটার স্কেলে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।’

দুর্ঘটনার পর ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় পোড়া গাড়ি, মানুষের দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই