দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল (ফাইল ছবি)

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি সামরিক কর্মকাণ্ডে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই দক্ষিণের আকাশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পাঠানো নিয়ে উত্তাপ বেড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্রের কারণে উত্তর কোরিয়াকে ভয় পাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বুধবার এই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ। প্রেসিডেন্ট ইউন বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক অস্ত্রের কারণে ভয় পাওয়া উচিত নয় এবং দেশটির উস্কানিকে অবশ্যই প্রতিশোধের সাথে মোকাবিলা করতে হবে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন মোকাবিলায় ২০২৭ সাল পর্যন্ত ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ড্রোন প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরে ৫৬০ বিলিয়ন ওয়ান বা ৪৪১.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

দিন দু’য়েক আগে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের ঢুকে পড়া নিয়ে কোরীয় দ্বীপে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। আকাশসীমা লঙ্ঘন করা উত্তর কোরিয়ার ড্রোনকে বাধা দিতে গিয়ে সেসময় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কেএ-ওয়ান অ্যাটাক বিমান বিধ্বস্ত হয়।

গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকাশসীমা লঙ্ঘন ঘিরে দক্ষিণের বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনা ঘটে। আর এরপরই ২০২৩-২৭ সালের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় এই ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

রয়টার্স বলছে, ড্রোন ধ্বংস করার জন্য এয়ারবোর্ন লেজার এবং এই ধরনের ছোট ডিভাইসগুলোকে নিউট্রালাইজ করতে জ্যামারসহ কাউন্টার-ড্রোন সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চারটি প্রকল্পের জন্য তহবিল নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘লেজার অস্ত্র প্রোগ্রামটি পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং ২০২৭ সালে এটি মোতায়েন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘সফট-কিল’ টাইপের এই জ্যামিং সিস্টেম ছোট ড্রোনের বিরুদ্ধে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াবে।’

অবশ্য দক্ষিণের আকাশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন প্রবেশের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন নজরদারি মিশন পরিচালনার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে প্রবেশ করে।

পরে সন্দেহভাজন মনুষ্যবিহীন ওই ড্রোনটি সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত হয়।

টিএম