ডাকাত আতঙ্কে বর্ধমানে সন্ধ্যার মধ্যে সোনার দোকান বন্ধের নির্দেশ
বিহারের গ্যাং বর্ধমানে ঢুকেছে জানতে পেরেই জেলার স্বর্ণব্যবসায়ীদের সতর্ক করল জেলা পুলিশ। ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতিকারীরা ইতোমধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের কালনা, কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরে রেকি করেছে বলেও জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই অঘটন রুখতে জেলার সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে দোকান বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
একইসঙ্গে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তির ছবিও ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ব্যক্তিদের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা সোনা ও রুপার দোকানের সামনেই ঘোরাফেরা করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার সব ব্যবসায়ীদের মধ্যেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পর পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও রাতে পাহারাকে জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা গিয়ে বর্ধমান শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানান, বিহার থেকে একটি বড় গ্যাং ঢুকেছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
বর্ধমান সদর স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সম্পাদক স্বরূপ কোনার জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পর বর্ধমান শহরে একের পর এক স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পর দফায় দফায় বড়বাজার সোনাপট্টি এলাকা থেকে বড়বাজার, বিসিরোডে প্রায় ৪৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান তারা। বর্তমানে এগুলো পুলিশ দেখভাল করছে। বিহারের এই গ্যাংয়ের খবর পাওয়ার পর তারা আরও সতর্ক হয়েছেন।
২০২০ সালের ১৭ জুলাই খোদ বর্ধমান শহরের জনবহুল এলাকায় একটি গোল্ড লোন কোম্পানির অফিসে হানা দিয়ে ডাকাতদল প্রায় ৩০ কেজি সোনা নিয়ে পালিয়ে যায়। শহরের কেন্দ্রস্থল কার্জন গেটের পাশে দুটি ব্যাঙ্কেও পরপর ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাই পুলিশের সতর্ক বার্তায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী জেলায় সোনা রূপার দোকানে ডাকাতি হওয়ায় আমরা সতর্কতা হিসেবে সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে দিতে বলেছি।’
যেহেতু কালনা থেকে সহজেই নদিয়া যাওয়া যায় তাই অপরাধীরা অপরাধ সংগঠিত করে যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে কালনার ক্ষেত্রে।
এমএ