যুদ্ধ-বিগ্রহ, হানাহানি ও মন্দার কারণে দিন দিন খারাপ হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এর প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারেও। পুরো বিশ্বের বড় একটি অংশ বেকার জীবন-যাপন করছেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর ওয়েস্টার্ন এশিয়া।

বেকারত্ব নিয়ে একটি জরিপ চালায় সংস্থাটি। এতে বের হয়ে আসে, মধ্যপ্রাচ্যের ১২ ভাগ মানুষ বেকার। তবে ২০২৩ সালে বেকারত্বের হার ১১.৭ ভাগে নেমে আসবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার লেবাননের মানুষ। দেশটির ২৯.২ ভাগ মানুষ কর্মহীন। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি এবং ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় লেবাননে বেকার মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এছাড়া আরব বিশ্বে দারিদ্র্যের সংখ্যাও বাড়ছে। এখানকার ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যতায় জর্জরিত। এ সংখ্যা আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়তে থাকবে এবং ওই বছর পুরো জনসংখ্যার ৩৪ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমায় বসবাস করবে।

তবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভালো খবরও আছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে,  ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩.৪ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া ২০২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে এবং ২০২৪ সালে ৪.৫ শতাংশে নেমে যাবে।

জাতিসংঘের ওই সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হবে। তবে একই সময়ে এ অঞ্চলে নিত্যপণ্যের মূল্যও বাড়বে।  

এদিকে বেকারত্ব নিয়ে জরিপ চালানো প্রধান গবেষক মোহাম্মদ মোম্মি জানিয়েছেন, জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম অন্যান্য খাতে সম্প্রাসারিত করা উচিত মধ্যপ্রাচ্যের। আর এক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে ভালো সময়।

সূত্র: দ্য নিউ আরব

এমটিআই