ছবি : ডেইলি মেইল

২০২২ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন মোট ৪৫ হাজার ৭৫৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।

ইউরোপ মহাদেশভুক্ত দেশ হলেও মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় যুক্তরাজ্য। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডস্থিত দেশ ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যকে পৃথক করেছে ইংলিশ চ্যানেল নামের ছোট ও সংকীর্ণ একটি সাগর।এই সাগরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার।

বিশ্বের অন্যান্য সাগরের তুলনায় আকার-আয়তনে ছোট হলেও যাতায়াতের পথ হিসেবে বেশ বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল। ভৌগলিক কারণেই শীতল পানির এই সাগরে বছরের অধিকাংশ সময়ে বিরূপ আবহাওয়া থাকে। তবে এই সাগরটি বিশ্বের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক জলপথগুলোরও একটি।

আরও পড়ুন : অভিবাসী রুখতে ট্রাম্প-আমলের কঠোর নীতি বহাল থাকছে যুক্তরাষ্ট্রে

গত তিন-চার বছর ধরে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন ঘটছে যুক্তরাজ্যে এবং প্রতিবছরই বাড়ছে তাদের সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন ২৮ হাজার ৫২৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। সেই হিসেবে এক বছরে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ হাজার ২৩০ জন।

অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ রোধে ইতোমধ্যে ইংলিশ চ্যানেলে ব্রিটিশ কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহলসহ  বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটেনের সরকার। তবে সেসব পদক্ষেপে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী ভিসা পাবেন যেভাবে

গত ডিসেম্বরে ইংলিশ চ্যানেলের হিমশীতল পানিতে অভিভাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি জেলে নৌকা ডুবে যাওয়ার পর সেই নৌকাটির মো ৪৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে পেরেছিল যুক্তরাজ্যের কোস্ট গার্ড বাহিনী। তাদের মধ্যে ৪ জন বাদে বাকি সবাই ছিলেন মৃত।

এসএমডব্লিউ