ভূম্যধসাগরে বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন জাহাজের উদ্ধার অভিযান নিয়ে নতুন এক ডিক্রি জারি করেছে ইতালি সরকার। 

নতুন ডিক্রিতে বলা হয়েছে, কোনো উদ্ধারকারী জাহাজের একটি উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হলে সাগরে নতুন কোনো নতুন উদ্ধারে না গিয়ে প্রথমে জাহাজটিকে নির্ধারিত বন্দরে ভিড়তে হবে। 

জার্মানি, স্পেন ও নরওয়েসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বেসরকারি সংস্থার জাহাজ ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রায় নিয়মিতই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।  

এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে যে জাহাজগুলো অভিযান পরিচালনা করত সাধারণত জাহাজগুলোর বেশিরভাগই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের পর ইতালির বন্দরে নামানোর জন্য আবেদন করতো। 

নতুন ডিক্রিতে আরেও বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জাহাজে থাকা অবস্থায়ই জানাতে হবে যে, তারা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করবে কি না এবং ইউরোপের কোন দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে চান। বন্দরে নামার আগেই জাহাজে থাকা অবস্থাতেই এই মর্মে তাদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। 

তাছাড়া নিয়ম ভঙ্গ করলে জাহাজের নাবিককে ৫০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হতে পারে। এমনকি নিয়ম ভঙ্গকারী জাহাজকে ইতালির বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রোক করতে বা বন্দরে আটকে রাখতে পারবে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস পরিচালিত একটি উদ্ধারকারী জাহাজের দায়িত্বে থাকা রিকার্ডো গাট্টি ইতালির দৈনিক লা রিপাব্লিকাকে বলেছেন, ডিক্রিটির ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে। 

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে ২০২২ সালে প্রায় ১ লাখ ২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছান। গত বছরের চেয়ে যা প্রায় ৬৬ হাজার ৫০০ জন বেশি। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি।  

এনএফ