রেল স্টেশনে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে তিন বছরের এক কন্যা শিশু। কিন্তু আচমকা পেছন থেকে এক নারী ওই শিশুকে ধাক্কা মেরে রেললাইনে ফেলে দেন। তবে সেই সময় রেললাইনে ট্রেন না থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে শিশুটি। গত বুধবার রোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পশ্চিম পোর্টল্যান্ডের এক রেল স্টেশনে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ওরিগনের মুল্টনোমাহ কাউন্টি জেলার অ্যাটর্নির অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে অ্যাটর্নি অফিস বলছে, ৩ বছর বয়সী শিশুটি প্ল্যাটফর্মে তার মায়ের সাথে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় অপরিচিত এক নারী তাকে ধাক্কা মেরে রেললাইনে ফেলে দেন।

হামলাকারী নারীর নাম ব্রায়ানা লেস ওয়ার্কম্যান (৩২)। শিশুটিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চে বসে পড়েন। আর এই দৃশ্য সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। এতে দেখা যায়, ধাক্কা খাওয়ার পর শিশুটি রেললাইনের ওপর আছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় শিশুটির মাথা এবং কপালে হালকা জখম হয়।

ওই সময় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্য লোকজন মুহূর্তের মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য রেললাইনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে এক ব্যক্তি শিশুটিকে নিরাপদে রেললাইন থেকে প্ল্যাটফর্মে তুলে নিয়ে আসেন। তবে ঘটনার সময় রেললাইনে ট্রেন না আসায় শিশুটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো ওরিগনের জেলা আদালতের রেকর্ডের বরাত দিয়ে বলেছে, তিন বছর বয়সী ওই শিশুটির পরিবার গৃহহীন। পরিবারের সদস্যদের সাথে পোর্টল্যান্ডে বসবাস করে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানকার যাত্রীরা।

ব্লেইন ড্যানলি নামের এক যাত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনবিসি১৫-কে বলেন, এর কোনও অজুহাত নেই। কেউ এমন কিছু কেন করবে,  আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।

মুল্টনোমাহ কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনার পরপর হামলাকারী নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হামলার চেষ্টা, হামলা, গণপরিবহনে হস্তক্ষেপ, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং বেপরোয়াভাবে অন্য ব্যক্তিকে বিপদে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস