ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (ফাইল ছবি)

ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করতে চায় ইহুদি এই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। বুধবার (৪ জানুয়ারি) নেতানিয়াহুর বিচারমন্ত্রী দেশটির বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং দেশের সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন।

আর এতে করে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি সরকারকে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন সমালোচকরা। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা বুধবার উন্মোচন করেছেন নতুন ইসরায়েলি বিচারমন্ত্রী।

তবে সমালোচকরা বলছেন, বুধবার ঘোষিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েলের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের সিস্টেমকে নষ্ট করবে এবং ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি এই সরকারকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেবে। যা কার্যত দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করবে।

ইসরায়েলের নতুন বিচারমন্ত্রীর নাম ইয়ারিভ লেভিন। তিনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আস্থাভাজন এবং সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘকালের সমালোচক বলে পরিচিত। বিতর্কিত নতুন এই আইন নিয়ে বৃহস্পতিবার বিতর্ক করার কথা রয়েছে এবং এর একদিন আগে এ নিয়ে নিজের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।

মূলত নতুন এই আইনে কর ফাঁকির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া যাবে। আদালতকে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে ইয়ারিভ লেভিন বলেন, ‘পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।’

এছাড়া লেভিন এমন একটি আইনের প্রস্তাব করেছেন যা ইসরায়েলের ১২০ আসনের পার্লামেন্ট বা নেসেটে ৬১ ভোটের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলোকে বাতিল করার ক্ষমতা দেবে।

তিনি আরও প্রস্তাব করেছেন যে, রাজনীতিবিদরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করবে এবং মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারবেন।

লেভিনের যুক্তি, বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের বিশ্বাস ঐতিহাসিক ভাবে নিম্নস্তরে নেমে গেছে। তার দাবি, তিনি নির্বাচিত কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা করেছেন।

টেলিভিশন বিবৃতিতে লেভিন বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে এবং এতে জনগণের বিশ্বাস ফিরে আসবে।’

আদালতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের ভোট দেইনি তারাই আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। এটা গণতন্ত্র নয়।’

টিএম