বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হলেও বন্ধু বিল গেটস আর ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন ওয়ারেন বাফেট। অবশেষে সেই তফাত ঘুঁচে গেল। প্রথমবারের দশ হাজার কোটি ডলারের (হ্রান্ড্রেড বিলিয়ন ডলার) মালিকদের ক্লাবে যুক্ত হলো তার নাম। বাফেটকে নিয়ে এই ক্লাবের সদস্য এখন মাত্র ছয় জন।   

বিনিয়োগ গুরুখ্যাত ওয়ারেন বাফেটের বয়স এখন ৯০ বছর। বার্কশায়ার হাথাওয়ে ইনকরপোরেশনের চেয়ারমান তিনি। বিবিসি লিখেছে, মহামারির মধ্যেও চলতি বছর কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। এতে কপাল খুলেছে বাফেটের। যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার প্রথমবার তার সম্পদের মূল্য একশ বিলিয়ন ছাড়ালো। 

কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় উপরের দিকের স্থানটি ধরে রেখেছেন বাফেট। উত্থান-পতন হলেও বেশিরভাগ সময় তাকে শীর্ষ দশেই দেখা গেছে। তবে আগে কখনোই তার মোট সম্পদের মূল্য একশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ায়নি বলে বৃহস্পতিবারের অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। 

বাফেট ছাড়া দশ হাজার কোটির বেশি সম্পদ পাঁচ জনের। এরা হলেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (১৮ হাজার কোটি), টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক (১৭ হাজার ৩০০ কোটি) বিল গেটস (১৩ হাজার ৮০০ কোটি), ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ (১০ হাজার ১০০ কোটি) এবং বার্নার্ড আরনল্ট (১২ হাজার ২০০ কোটি)।

তবে দানের ক্ষেত্রে বাফেটের হাতখোলা। ফোর্বসের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমান বিশ্বে দানে সবার শীর্ষে রয়েছেন ‘বিনিয়োগ গুরু’ হিসেবে সমধিক পরিচিত বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ারেন বাফেট। শতশত কোটি ডলার তিনি মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। এ কাজ চলছে। 

দাতব্য সংস্থায় দানের শত শত কোটি ডলার দান করার কারণে এর আগে তার হ্রান্ড্রেডস বিলয়নিয়ার ক্লাবে যোগ দেওয়া হয়নি। ২০০৬ সাল থেকে বাফেট তার বার্কশায়ার হাথাওয়ের ৩৭ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন।  

শতকোটিপতিদের দানে উৎসাহিত করার জন্য গঠিত ‘গিভিং প্লেজ’ নামের একটি প্রচারণা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কটও বাফেটের মতো দান করেনে। গত বছরের শেষ চার মাসে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেন তিনি।  

এএস