ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) তিনি ফ্লোরিডার অরল্যান্ডে ভর্তি থাকা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বলে বলসোনারোর পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) এ সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে ফ্লোরিডায় উড়ে গিয়েছিলেন বলসোনারো। এরপর দিন দু’য়েক আগে তার কয়েকশ সমর্থক ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে তাণ্ডব চালায়।

ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সোমবার (৯ জানুয়ারি) বলসোনারোর স্ত্রী জানান, অন্ত্রে ব্যথা অনুভব করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ছুরিকাঘাতের শিকার হন বলসোনারো। ছুরিকাঘাতের স্থানে প্রায়ই ব্যথা অনুভব করেন তিনি।

এদিকে ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটিতে চলছে গণগ্রেপ্তার। আর এর মধ্যেই দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের প্রধানকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দাঙ্গাকারীরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালানোর পর ব্রাজিলের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের পর ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের সাবেক কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস-সহ এবং অন্যান্যরাও রয়েছেন। তবে টরেস দাঙ্গায় কোনও ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন। 

গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বলসোনারোকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন লুলা দা সিলভা। কিন্তু লুলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি মানতে পারেননি বলসোনারোর সমর্থকরা। ফলে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালিয়েছেন তারা।

জেডএস