পশ্চিমাদের তৈরি করোনার মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) ভ্যাকসিন পেতে চীনের মূল ভূখন্ড থেকে হংকংয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এ ভ্যাকসিন চীনে নেই।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভীষণ চাপ পড়েছে চীনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর। আর এমন সময়ে পশ্চিমাদের তৈরি কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে হংকংয়ে ভিড় জমাচ্ছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের ভার্চুস নামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল বৃহস্পতিবার মূল ভূখণ্ডের প্রথম ব্যাচকে এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। মাত্র পাঁচদিন আগে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই চীন থেকে আসা পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে হংকং।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ৩৬ বছর বয়সী বাসিন্দা ইয়ো লিয়াং জানিয়েছেন, এমআরএনএ বায়োনটেক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে হাসপাতালটিকে ১ হাজার ৮৮৮ হংকং ডলার দিয়েছেন তিনি।

রয়টার্সকে এ নারী আরও জানিয়েছেন, গত দুই বছরের মধ্যে চীনের তৈরি সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের তিন ডোজ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু নিজেকে আরও সুরক্ষিত রাখতে বুস্টার ডোজ হিসেবে বায়োনটেকের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

ভার্চুস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে ভ্যাকসিন পেতে এখন পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডের ৩০০ জন মানুষ খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তাদের আশা, এ সংখ্যা সামনের সপ্তাহগুলোতে আরও বাড়বে।

তবে ভার্চুস হাসপাতালের প্রধান মেডিকেল অফিসার স্যামুয়েল ওক জানিয়েছেন, যেহেতু চীনে এখন অনেকেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, ফলে চাইলেই তারা এখন বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন না। তাদের অন্তত তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন ২০২২ সালের শেষ দিকে হঠাৎ করে করোনা প্রতিরোধী সব কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে। এরপর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ বেড়ে চলছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই