জার্মানির হামবুর্গ শহরে দুজনের সঙ্গে করোনাবিধি নিয়ে কথা বলছে পুলিশ।

জার্মানিতে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও দ্রুত বাড়ছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ বলছেন, তিনি মনে করেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ পুরোদমে শুরু হয়েছে জার্মানিতে। খবর ডয়েচে ভেলের।

জেনেভায় জাতিসংঘের সাংবাদিক সংস্থাকে জার্মানির রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের পরিচালক লোটার ভিলার বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি যে, জার্মানিতে ইতোমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে।’

জার্মানিতে চলতি সপ্তাহে একদিনে ২৪ হাজার ৩৫৬ জনের দেহে মহামারি ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার মধ্যেই লোটার ভিলার এমন মন্তব্য করলেন। এর মধ্য দিয়ে জার্মানিতে এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ হাজার ৪০০ বেড়ে গেল। সংক্রমণের হারও লাখে ৬৫ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে এ সপ্তাহে ৬৯ দশমিক ১ হয়েছে।

ইউরোপের আরেও কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে লকডাউন আবার কড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। বিশেষ করে যেসব এলাকায় এক লাখের মধ্যে ২৫০ জন বা তারও বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেসব এলাকায় লকডাউন সবচেয়ে কড়াভাবে আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে ইউরোপের আরেক দেশ বেলারুশে বেশ কয়েকজনের দেহে পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ও অতিসংক্রামক ধরন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নতুন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই পোল্যান্ড, ইউক্রেন অথবা মিসর থেকে বেলারুশে প্রবেশ করেছেন।

ডেনমার্ক পড়েছে অন্য সংকটে। অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকা দেওয়ার পর বেশ কয়েকজনের রক্ত জমাট বেঁধেছে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া বন্ধ করেছে দেশটি। এমনটা হয়েছে সুইডেনেও। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য বলছে, এমন কিছু পায়নি তারা। তাই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া অব্যাহত থাকবে। 

এএস