ইয়েতি এয়ারলাইন্স যতটা বিখ্যাত ঠিক যেন ততটাই অভিশপ্ত। একের পর এক দুর্ঘটনায় এমনটাই যেন প্রকাশিত হচ্ছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের পোখরা বিমান বন্দরে দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াড়ার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল প্লেন দুর্ঘটনায়। ১৬ বছর আগে ইয়েতির একটি প্লেনের কো-পাইলট ছিলেন তিনি। এবার জানা গেল, ইয়েতির মালিক আং শিরিং শেরপারও মৃত্যু হয়েছিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়।

এই শিল্পপতির হোটেল ও বেসরকারি বিমান পরিষেবার ব্যবসা ছিল। ২০১৯ সালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তেরথুম জেলায় পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় তার হেলিকপ্টারটি। ওই প্লেনে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মালিক, পাইলটসহ মোট ৬ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ছিলেন নেপালের তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী, তার সহকারী, বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ডেপুটি সেক্রেটারি। দুর্ঘটনায় তাদের সবার মৃত্যু হয়।

এদিকে ২০০৬ সালের ২১ জুন এক প্লেন দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াড়া। কাকতালীয়ভাবে সেটিও ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের প্লেন। ৯এল এইকিউ প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৬ যাত্রী এবং ৪ ক্রু সদস্যের। অঞ্জুর স্বামী ছিলেন প্লেনটির কো-পাইলট।

জানা গেছে, নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ প্লেনটি আগে ছিল ভারতীয় সংস্থার। পরে থাইল্যান্ডের সংস্থার হাত ঘুরে চলে যায় নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাছে। এটিআর-৭২ প্লেনটি একসময় বিজয় মাল্যের কিংফিশার এয়ারলাইন্স ব্যবহার করত। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের সংস্থা প্লেনটি কিনে নেয়।

প্রসঙ্গত, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ প্লেনটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চার জন কেবিন ক্রু মিলিয়ে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় সবারই মৃত্যু হয়েছে। রোববার যাত্রীবাহী প্লেনটি পুরোনো পোখরা বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে সেতি নদীর অববাহিকায় পাহাড় ঘেরা বনভূমির মধ্যে ভেঙে পড়ে। সম্প্রতি চীনের সহযোগিতায় পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গড়ে ওঠে। সপ্তাহ দুয়েক আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন।

এমজেইউ