ছবি : আরটি

২০২২ সালে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে রাশিয়ায়। সদ্য বিদায় নেওয়া বছরটিতে যে পরিমাণ গম উৎপাদিত হয়েছে দেশটিতে, তা গত ৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

সোমবার দেশটির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর রোসস্টাট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সদ্য বিদায় নেওয়া বছরে রাশিয়ায় উৎপাদিত হয়েছে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ টন গম।

রোসস্টাটের তথ্য বলছে, গত ২০২১ সালে রাশিয়ায় মোট উৎপাদিত গমের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৪৪ লাখ টন। শতকরা হিসেবে এক বছরে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

এর আগে ২০১৭ সালে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টন গম উৎপাদিত হয়েছিল রাশিয়ায়। এতদিন পর্যন্ত সেটিকেই ধরা হতো এক বছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ গম উৎপাদনের রেকর্ড হিসেবে।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি পাত্রুশেভ গতমাসে এক পার্লামেন্ট সেশনে বলেছিলেন, ‘গত ৫ বছরের প্রতি বছর দেশটিতে হেক্টরপ্রতি গমের উৎপাদন বেড়েছে সর্বনিম্ন ২৪ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ কুইন্টাল (এক কুইন্টাল=১০০ কেজি)। প্রতি বছরের একটু একটু করে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলেই গত বছরের এই রেকর্ড অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।’

গত ১৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক সরকারি বৈঠকে বলেছিলেন, ‘আমরা আবার বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারী দেশ হতে চাই। ইতোমধ্যে গত ৫ মাসে আমরা ২ কোটি ২২ লাখ টন গম রপ্তানি করেছি। আশা করছি আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুন, অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ গম রপ্তানির পরিমাণ ৫ কোটি টনে উন্নীত হবে।’

গম রপ্তানির প্রসঙ্গে রাশিয়ার কৃষিপণ্যের বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা সোভইকনের এক কর্মকর্তা প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসকে বলেন, ‘রাশিয়া গমের রপ্তানি বাড়ানো শুরু করেছে গত বছর অক্টোবর থেকে। গত অক্টোবর-নভেম্বরে ইউরোপের সর্বোচ্চ গম রপ্তানিকারী দেশ ছিল ফ্রান্স, কিন্তু তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি গম রপ্তানি করেছে রাশিয়া। কারণ, সেসময় প্রতিটন ফ্রান্সের গমের তুলনায় রাশিয়ার গমের দাম ছিল ১০ থেকে ২৫ ডলার কম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাই রাশিয়ার গম কিনতেই বেশি আগ্রহী ছিল।’

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ