মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা ‘স্বচালিত গাড়ির’ ভুয়া ভিডিও বানিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন একজন প্রকৌশলী।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অশোক এল্লোস্বামী নামে টেসলার ওই প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, লাল বাতি জ্বলে ওঠার পরই গাড়ি থেমে যাচ্ছে। সবুজ বাতি জ্বলে ওঠার পর গাড়ি চলা শুরু করছে। কিন্তু বাস্তবে এ সুবিধা ছিলই না।

ভিডিওটি টেসলার ওয়েবসাইটের আর্কাইভে এখনো রয়ে গেছে। সেটির প্রচারণা চালিয়েছিলেন টেসলার সিইও ও টুইটারে বর্তমান মালিক ইলন মাস্ক নিজে। তিনি বলেছিলেন, ‘টেসলা নিজে চলে।’

২০১৮ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান অ্যাপলের একজন কর্মকর্তা। ওই সময় তিনি টেসলার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার জবানবন্দিতে টেসলার ‘স্বচালিত প্রযুক্তি’ বিভাগের পরিচালক অশোক ২০১৬ সালে ভুয়া ভিডিও বানানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, টেসলার যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি দিয়ে গাড়িটি নিজে চলছিল না।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স প্রকৌশলী অশোকের এ জবানবন্দির একটি কপি পেয়েছে। সেখান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

অশোক টেসলার প্রথম কর্মকর্তা যিনি ‘ভুয়া ভিডিও’ বানানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ভিডিওটির শুরুতে কিছু লেখা ভেসে ওঠে। সেখানে লেখা ছিল, ‘গাড়ির সিটে ড্রাইভার বসে আছেন শুধুমাত্র আইনি কারণে। তিনি কিছুই করছেন না। গাড়িটি নিজে চলছে।’

অবশ্য টেসলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বচালিত প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে স্টিয়ারিং, ব্রেকিং, গতি ও লেন পরিবর্তনে সহায়তা করতে। এটি গাড়িকে পুরোপুরি স্বচালিত করে না।’

প্রকৌশলী অশোক আরও জানিয়েছেন, যখন ভিডিওটি করা হয় তখন একটি গাড়ি পার্ক করার সময় পাশের বেড়ায় গিয়ে ধাক্কা লাগে।

তবে তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘২০১৬ সালে টেসলায় কী প্রযুক্তি  ছিল সেটির ধারণা দেওয়ার জন্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়নি। এর বদলে ভবিষ্যতে কি ধরনের প্রযুক্তি আসতে পারে সেটির ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার স্বচালিত একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দেশটির প্রশাসন।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই