শীতের ছুটি শেষে মাত্রই স্কুল খুলেছে। আর এর মধ্যেই স্কুলের সামনে হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। দুই দিন অভিযানে নেমে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতার পুলিশ। 

অভিযানটি স্কুল চলাকালেই পরিচালনা করা হয়। কলকাতার একাধিক স্কুলের সামনে এ অভিযানে নামে পুলিশ। সবমিলিয়ে দুই দিনে ১১০টি মামলা করা হয়েছে। শুধু সোমবারই ৫৯টি মামলা করা হয়েছে। এদিকে স্কুলগুলোতে পরীক্ষা শুরু হবে কয়েকদিন পরেই। তারপর বোর্ড পরীক্ষাও হবে। তার আগে হর্ন রুখতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিলো পুলিশ।

শিয়ালদা ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকেও অভিযান চালানো হয়েছিল। কলেজ স্ট্রিট সাইলেন্ট জোন, উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ মামলা করা হয়েছে। কলকাতার লালবাজারের দূষণ বিরোধী সেলও এ নিয়ে তৎপর হয়েছে।

এদিকে অ্যান্টি পলিউশন সেল অন্তত ৩০টি মোটরসাইকেল আটক করেছে, যেগুলো হাসপাতাল ও স্কুলের সামনে ক্রমাগত হর্ন বাজাচ্ছিল।

তবে সূত্রের খবর, কলকাতায় বিভিন্ন স্কুল ও হাসপাতালের সামনে নো হর্ন বোর্ড লাগানো থাকে। কিন্তু বেশিরভাগই দেখা যায়, সেই বোর্ডকে তোয়াক্কা না করে হর্ন বাজাতে থাকেন চালকরা। যানজটে আটকে থাকার সময় এই হর্নের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অনেকেই টানা হর্ন বাজাতে থাকেন। এদিকে একাধিক গাড়ি একসঙ্গে হর্ন বাজালে মারাত্মক শব্দ দূষণ তৈরি হয়।

কলকাতার বহু নামি স্কুলের অবস্থান মূল রাস্তার পাশেই। ব্যস্ত রাস্তার পাশে স্কুল হওয়ায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই গাড়ি চলাচল করে। তার সঙ্গে তীব্র শব্দে হর্ন। কান পাতা যায় না হর্নের কারণে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনকি হাসপাতালের সামনেও হর্ন যাতে বাজানো না হয় সেজন্য অনুরোধ করা হয়। হর্নের শব্দে সমস্যায় পড়তে পারেন অসুস্থ রোগীরা। তবে এবার সাইলেন্ট জোনে হর্নের বিরুদ্ধে বড় অভিযান শুরু করলো কলকাতার পুলিশ।

তবে সবক্ষেত্রেই যে জরিমানা করা হচ্ছে এমন নয়। কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক করা হচ্ছে গাড়ি চালকদের। স্কুল বা হাসপাতালের সামনে যাতে হর্ন বাজানো না হয় সে ব্যাপারে গাড়ি চালকদের বারবার সচেতন করা হচ্ছে। এবার নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ।

/এসএসএইচ/