বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ লুসি র‌্যান্ডন মঙ্গলবার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে ফ্রান্সের এ নারীর বয়স হয়েছিল ১১৮ বছর।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পরামর্শক এবং বার্ধক্যবিদ রবার্ট ডি ইয়ং বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, লুসি মারা যাওয়ার পর এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি পাবেন স্পেনের ১১৫ বছর বয়সী নারী মারিয়া ব্রানাস মোরেরা।

তবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার আগে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ মারিয়ার কাগজপত্র পরীক্ষা এবং তার পরিবারের সাক্ষাৎকার নেবে।

এমন বিরল স্বীকৃতি পেতে যাওয়া মারিয়ার ৭৮ বছর বয়সী ছোটো মেয়ে রোসা মোরেট জানিয়েছেন, তার মা জীবনে কখনো হাসপাতালে যাননি। তার দাবি, জিনগত কারণেই  তার মা ‘দীর্ঘজীবি’ হয়েছেন।  

রোসা মোরেট স্পেনের একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ‘আমার মা কখনো হাসপাতালে যাননি। কখনো তার হাড় ভাঙেনি। তিনি ঠিক আছেন, তার শরীরে কোনো ব্যথা নেই।’

মারিয়া ব্রানাস মোরেরা ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেন। তার জন্মের কিছুদিন আগে তার পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পর ১৯১৫ সালে তার পুরো পরিবার জাহাজে করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশ স্পেনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে জাহাজেই তার বাবা মারা যান এবং তাকে বহনকারী কফিনটি সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়।

স্পেনে ফিরে মারিয়া এবং তার মা বার্সেলোনায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৩১ সালে মারিয়া একজন চিকিৎসকে বিয়ে করেন। প্রায় পাঁচ দশক একসঙ্গে থাকার পর তার স্বামী ৭২ বছর বয়সে মারা যান।

মারিয়ার তিন সন্তান এবং ২২ জন নাতি-পুতি রয়েছে। তিন সন্তানের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

মারিয়া বর্তমানে একটি বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন। ২০১৯ সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও পুরোপুরি সেরে ওঠেন।

২০১৯ সালে বার্সেলোনাভিত্তিক একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিয়া বলেছিলেন, ‘আমি বিশেষ কিছু করিনি। শুধু প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’

সূত্র: এএফপি

এমটিআই