এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্গুস লেইদ্রে, ছবি : আরটি

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যরাষ্ট্র এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্গুস লেইদ্রেকে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে রাশিয়া। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে মস্কো ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে নিজেদের দূতাবাসও বন্ধ করে দিয়েছে রুশ সরকার। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ইইউ’র কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিল রাশিয়া।

সোমবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘বিশ্বে যেসব দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভীতি ছড়াচ্ছে এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশে প্রতিকূল মনোভাব উসকে দিচ্ছে— এস্তোনিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম।’

‘পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে— রাশিয়ার বিরুদ্ধে মনগড়া ভীতি ছড়ানোকে তাল্লিন তার রাষ্ট্রীয় নীতির অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে। তাই আমরাও এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।’

রাশিয়াকে ‘শিক্ষা দিতে’ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য ইউক্রেন তদবির শুরু করেছিল ইউক্রেন। তার মধ্যেই গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।

ন্যাটোর অন্যতম মিত্রজোট ইইউয়ের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের মতো এস্তোনিয়াও এই যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক নিষেধজ্ঞায় অংশ নিয়েছিল। কয়েক দিন আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরমাস রেইনসালু তাল্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনেস বলেছিলেন, ‘এস্তোনিয়ায় রাশিয়ার দূতাবাসে যারা কাজ করছেন, তারা এই যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া ও এস্তোনিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখছেন বলে আমরা মনে করছি না। এ কারণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রুশ দূতাবাসের জনবল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

এস্তোনিয়ার সরকার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করল মস্কো। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝাখারোভা বলেন, ‘এটা সবাই জানে যে, যেসব দেশ রাশিয়ার প্রতি সবচেয়ে নিষ্ঠুর মনোভাব পোষণ করে, এস্তোনিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম।’

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ