চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দৈনিক মৃত্যুর হার চলতি মাসের শুরুর দিকের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ কমেছে। দেশজুড়ে নজিরবিহীন যে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, এটি তা কমে যাওয়ার লক্ষণ বলে বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

গত মাসে আকস্মিকভাবে বেইজিং ‘কোভিড-জিরো নীতি’ বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটিতে করোনা সংক্রমণের ব্যাপক ঢেউ দেখা যায়। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চীনের সরবরাহ করা করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে প্রকৃত চিত্রের কেবল এক অংশ বলে ধারণা করছেন।

গত সপ্তাহে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনে করোনা সংশ্লিষ্ট অসুস্থতায় অন্তত ১৩ হাজার মানুষ মারা গেছেন। তবে এক ঘোষণায় তার আগের মাসে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানানো হয়। 

কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের ঘোষণায় এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঢেউ নিম্নমুখী হতে শুরু করছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু ডিসেম্বরের শেষ এবং চলতি মাসের শুরুর দিকে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়। ওই সময় দেশটির হাসপাতাল ও অন্তেষ্টিক্রিয়ার স্থানগুলোতে মরদেহের স্তুপ দেখা যায়।

বুধবার এক বিবৃতিতে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলেছে, সোমবার চীনে করোনা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট অসুস্থতায় মারা গেছেন ৮৯৬ জন। যা গত ৪ জানুয়ারির তুলনায় প্রায় ৭৯ শতাংশ কম।

সিডিসি বলছে, হাসপাতালে গুরুতর রোগীর সংখ্যাও সোমবার ৩৬ হাজারে নেমেছে; যা গত ৫ জানুয়ারির ১ লাখ ২৮ হাজারের তুলনায় ৭২ শতাংশ কম।

চীনের নতুন চন্দ্র নববর্ষ ঘিরে দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভ্রমণ ও সামাজিক বিভিন্ন ধরনের জমায়েত ঘিরে যখন করোনার প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখনই দেশটিতে এই ভাইরাসের নিম্নমুখী হয়ে যাওয়ার তথ্য জানানো হলো।

সূত্র: এএফপি।

এসএস