উৎসবে হাতিকে ফলাহার করানো হচ্ছে

থাইল্যান্ডে পালিত হয়েছে হাতি দিবস। শনিবার (১৩ মার্চ) দেশটির প্রাচীন রাজধানী আয়ুথায়ায় হাতি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে কয়েক ডজন হাতিকে ফলাহার করানো হয়। শিগগিরই করোনা সংকট কাটিয়ে দেশটিতে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে, কেটে যাবে পর্যটন খাতের স্থবিরতা- এই কামনা করা হয় উৎসবে।

ব্যাংককের উত্তরে রয়্যাল এলিফ্যান্ট গ্রাম নামে রয়েছে হাতির অভয়াশ্রম। এর জেনারেল ম্যানেজার ইত্তিপান খারওয়ালামই বলেন, আশা করছি শিগগিরই সরকার পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দেবে। উপার্জনের পথ খুলে গেলে হাতির জন্য খাবার কিনতে পারব এবং যারা হাতির দেখাশোনা করেন তাদের করোনাকালে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা পুষিয়ে দিতে পারব। পর্যটকরা হাতির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

পর্যটন নির্ভর দেশটিতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি দুই দশকের মধ্যে গভীর মন্দায় ভুগছে। 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা দলগুলো বন্যপ্রাণীর খেলা দেখানো ও এদের পিঠে সওয়ার হওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলছে। একে প্রাণী নির্যাতন হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা ক্রমাগত বন্ধের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন।

থাইল্যান্ডের গর্ব এবং ট্রেডমার্ক হিসেবে দেখা হয় হাতিকে। ইতিহাসে দেশটির অনেক রাজা যুদ্ধে জয় পেয়েছেন হাতির কাঁধে চেপেই। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই দেশটিতে হাতি হচ্ছে শ্রমসাধ্য কাজ ও যাতায়াতের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। 

এইচকে