সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিবিসির ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রের লিংক তুলে নেওয়ার জন্য ইউটিউব ও টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সরস্বতী পূজা ও প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি এ তথ্যচিত্র বড় প্রোজেক্টরের মাধ্যমে দেশটির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করা হয়েছে। মোদিকে নিয়ে বিবিসির এ তথ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (এসএফআই)। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী এ বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি দেখেছেন। তবে বেশ কিছুক্ষণ এটি প্রদর্শন হওয়ার পর প্রজেক্টরে সমস্যা দেখা দিলে ল্যাপটপ উঁচু করে সবাইকে তা দেখানো হয়। আর সেখানেই ভিড় করে ডকুমেন্টারিটি দেখেছেন তারা। তবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) মতো জেইউতে এ প্রদর্শনী নিয়ে কোনো গণ্ডগোল বা বিরোধিতা হয়নি বলে জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক শুভঙ্কর মজুদার। এছাড়াও শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও এ তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে এ তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদি সরকারের এ পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।

এফকে