পূর্ব জেরুজালেমে ১৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি এক কিশোরের গুলিতে এক বাবা ও তার ছেলে আহত হয়েছেন। জেরুজালেমে একটি সিনাগগের বাইরে এক বন্দুকধারীর গুলিতে সাতজনের প্রাণহানির কয়েক ঘণ্টা পর শনিবার এই গুলির ঘটনা ঘটেছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের ঘটনা নাটকীয়ভাবে যে বৃদ্ধি পেয়েছে গুলিবর্ষণের এই দু’টি ঘটনায় তা বোঝা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তির আহ্বান জানালেও সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাত ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

পুলিশ বলছে, শনিবার সকালের দিকে ইসরায়েল-অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের সিলওয়ানে কিশোরের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪৭ বছর বয়সী এক বাবা ও তার ২৩ বছরের ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে, শুক্রবারের সিনাগগে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি পুলিশ ৪২ জনকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার নেভ ইয়াকভ এলাকার একটি সিনাগগে হামলা চালায় ২১ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি। ইহুদিদের প্রার্থনা আর আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট দিবস উযাপনের সময় ওই যুবক গুলি চালায়।

গত দুই দশকের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রাণঘাতী এক সামরিক অভিযানে ৯ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির একদিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই অভিযানের পর গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট হামলা হয়। এ ঘটনার পর গাজা উপত্যকায় হামাসের সামরিক ঘাঁটি ও স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

এর মাঝে শুক্র ও শনিবারের হামলায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মাঝে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার গভীর রাতে সিনাগগে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় ‘আরবের মৃত্যু’ বলে চিৎকার করতে দেখা যায় কিছু লোকজনকে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি ও ২৬ ইসরায়েলির প্রাণ গেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে পশ্চিম তীরে।

এসএস