পূর্ব এশিয়ার দেশ ইরানের ইস্ফাহানে রোববার একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইরানে এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (২৯ জানুয়ারি) জানায়, ইস্ফাহানের একটি যুদ্ধাস্ত্রের কারখানা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। কিন্তু হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

হামলায় ব্যবহৃত একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। আর দু’টি ড্রোন কারখানার ছাদের ওপর বিস্ফোরিত হয় বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।

তেহরানের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া অবকাঠামোরও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও এখন পর্যন্ত ইরানের ভেতর ড্রোন হামলা নিয়ে মুখ খোলেনি ইহুদিবাদী ইসরায়েল। অবশ্য প্রকাশ্যে তারা এ ধরনের হামলা নিয়ে কোনো কিছু বলে না। তবে ইসরায়েল অসংখ্যবার হুমকি দিয়েছে, যদি পশ্চিমারা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশটির সামরিক অবকাঠামোয় হামলা চালাবে তারা।

মধ্যাঞ্চলের ইস্ফাহানে একাধিক পরমাণু কার্যক্রম চালায় ইরান। যার মধ্যে রয়েছে তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রোগ্রামের প্রাণকেন্দ্র নাতানজ। যেটিতে ২০২১ সালে নাশকতার ঘটনা ঘটে। ওই নাশকতার দায় ইসরায়েলের ওপর চাপিয়েছিল ইরান।

এদিকে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর ইরান আবারও পুরোদমে তাদের পরমাণু কার্যক্রম শুরু করে।

২০২২ সালে নতুন করে আবারও চুক্তিটি করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। তবে এটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিরোধীতা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, চুক্তি করলেও ইরান তাদের কার্যক্রম থামাবে না। উল্টো মাঝে সুবিধা আদায় করে নেবে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই