বিশ্বের ১৮০টি দেশ নিয়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই)। 

এমন এক সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ হলো, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যুদ্ধে কে জয়ী হতে যাচ্ছে, কার কতটুকু ক্ষতি হলো, কে কোন পক্ষের ইত্যাদি। যুদ্ধের শেষ পরিণতি কি হবে সেটা ভবিষ্যতের বিষয়।

তবে টিআই কর্তৃক দুর্নীতির ধারণা সূচকে (সিপিআই) বেশি স্কোর করে কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে এগিয়ে রয়েছে ইউক্রেন। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ তালিকা হিসেবে ২৮ স্কোর নিয়ে বৃহৎ শক্তি রাশিয়ার অবস্থান ১৫তম। অন্যদিকে ৩৩ স্কোর নিয়ে ইউক্রেনের অবস্থান ২০তম। স্কোর ও অবস্থানগত ব্যবধান ৫।

২০২২ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

টিআইবির প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সোমালিয়া। দুর্নীতির ধারণা সূচকের (সিপিআই) ১০০ স্কোরের মধ্যে দেশটি পেয়েছে ১২।

বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এর পরের অবস্থান দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া। তাদের স্কোর যথাক্রমে ১৩ ও ১৪। আর তৃতীয় অবস্থানে ভেনিজুয়েলা। ১৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে ইয়ামিন এবং পঞ্চম অবস্থানে যৌথভাবে বুরুন্ডি, বিষুবীয় গিনি, হাইতি, লিবিয়া ও উত্তর কোরিয়া।

সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। বাংলাদেশের স্কোর ২০২১ সালের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ২৬ থেকে ২৫ হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে এক ধাপ অবনমন হয়েছে। যদিও তালিকায় উপরের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ গত বছরের মতো ১৪৭তম রয়েছে বাংলাদেশ। ২৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সাথে একই অবস্থানে রয়েছে ইরান ও গিনি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এ বছর সূচকে নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ এবং উপরের দিক থেকে ১৪৭। এবার বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে ২৫ অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এবার আফগানিস্তানের স্কোর ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ঘুরে ফিরে ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে রয়েছে। 

আরএম/এফকে