ভারতের সাবেক শীর্ষ ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপ অব কোম্পানিজের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় বিষয়ক যে চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছিল, তার সংশোধন চাইছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তিটি করেছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের জন্য সাক্ষর করা হয়েছিল এই চুক্তি; কিন্তু বিপিডিবির কর্মকর্তাদের দাবি— খোলাবাজারে কয়লার যে দাম, তার তুলনায় চুক্তিতে কয়লার দাম প্রায় দ্বিগুণ ধরেছে আদানি গ্রুপ।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বিপিডিপির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চুক্তিতে আদানি গ্রুপ প্রতি টন কয়লার দাম ধরেছে ৪০০ ডলার; কিন্তু আমাদের মতে এই মূল্য হওয়া উচিত ছিল ২৫০ ডলারেরও কম।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘খোলাবাজারে কয়লার দাম কেমন— আমরা জানি। কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য নিয়মিতই কয়লা কিনতে হয় আমাদের।’

‘ইতোমধ্যে আমরা আদানি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তি সংশোধনের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি; দেখি, তারা কী উত্তর দেয়।’

এদিকে, আদানি গ্রুপের মালিক গৌতম আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় এই চুক্তিটিকে বাংলাদেশ-ভারতের চুক্তি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছে, এই চুক্তির সঙ্গে ভারতের সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই; বরং বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তুলতে আগ্রহী ভারত।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘ভারত বরাবরই ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং উভয়য়েই পরস্পরের সঙ্গে নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। এই সম্পর্কের মধ্যে অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়া, বিভিন্ন প্রকল্প গঠন এবং সেসবের সমন্বয়, বিনিয়োগসহ আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত। আমরা মনে করি না, কোনো একটি কোম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত কোনো চুক্তি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।’

এসএমডব্লিউ