পাকিস্তানের ক্ষমতা কাঠামোর শীর্ষে অবস্থান করা সামরিক বাহিনীকে নিয়ে ঠাট্টা-রসিকতা ও কলঙ্ক লেপন বন্ধে কঠোর আইন করছে দেশটির সরকার।  ভারসাম্য রক্ষা করতে অবশ্য আইনে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বিচার বিভাগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আইনটিতে।

প্রস্তাবিত সেই আইনের খসড়া অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কিংবা বিচারবিভাগ নিয়ে সংবাদমাধ্যম-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যে কোনো মাধ্যমে ঠাট্টা-রসিকতা কিংবা কলঙ্ক লেপন করেন, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলো পাকিস্তানের দণ্ডবিধি এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রোসিডিওর (সিআরপিসি) অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাবাসের সাজা এবং ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনটির খসড়া প্রস্তুত করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কয়েকদিন খসড়াটি কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই কাজ শেষে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে খসড়াটি।

শিগগিরই সেটি বিল আকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই কার্যকর হয়ে উঠবে আইনটি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলঙ্কজনক, অবমাননাকর ও বিদ্বেষপূর্ণ বিভিন্ন আক্রমনাত্মক বক্তব্য ও পোস্ট লক্ষ্য করছেন তারা। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণ প্রতিহত করতেই আইনটি করা হচ্ছে।

এসএমডব্লিউ