তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকস্পে সিরিয়ায় অন্তত ২৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন। সিরিয়ায় হতাহতের সংখ্যা আর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় সেখানে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, লাতকিয়া ও টার্টাসে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন।

সিরিয়ান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক ও হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন উৎসের বরাতে আনাদোলু এসেন্সি জানিয়েছে, উত্তর সিরিয়াতে কমপক্ষে আরও ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও তুর্কিপন্থীদের নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের স্থানীয় একটি হাসপাতাল এএফপিকে জানিয়েছে, আজাজ ও আল-বাব অঞ্চলে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ /ছবি- সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদের একটি জরুরি বৈঠক করেন।

বাশার আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর এলাকায় অন্তত ৪২ জন মারা গেছে এবং আরও ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওই এলাকার বহু দালান ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আটকে থাকাদের উদ্ধারের উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয়রা একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।  

তুরস্ক সীমান্ত থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে সিরিয়ার সালাকিন শহরের কথা উল্লেখ করে উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটের একজন সদস্য টুইটারে একটি ভিডিও ক্লিপে বলেছেন, এখানকার অবস্থা খুবই নাজুক। এই শহরের বহু স্থাপনা ধসে গেছে।

ভিডিও ক্লিপটিতে ওই উদ্ধারকারী বলেন, এখানকার বাড়িগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

সিরিয়ার আতমেহ নামক একটি শহরের চিকিৎসক মুহিব কাদ্দুর টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, এই শহরে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আরও অনেককে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি মৃতের সংখ্যা শতাধিক। আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি।

সিরিয়ায় চলমান ১২ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলের অনেক ভবন ইতোমধ্যেই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিরিয়ার একাধিক শহরে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে নেমেছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মী ও বাসিন্দারা।

ওএফ