সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা শত শত পরিবারকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দেশটির বিরোধীদের পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের প্রধান রায়েদ আল-সালেহ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। সেখানকার উদ্ধারকারী গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেটের উদ্ধার তৎপরতায় আন্তর্জাতিক দাতব্য গোষ্ঠীগুলোর জরুরি সহায়তার প্রয়োজন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রায়েদ আল-সালেহ বলেন, ‘প্রত্যেক সেকেন্ডের মানে মানুষের জীবন বাঁচানো। আমরা সব দাতব্য সংস্থাকে বস্তুগত সহায়তা এবং এই বিপর্যয়কে জরুরিভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রতিবেশী দুই দেশে ভূমিকম্পের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। ধসে পড়েছে হাজারও বাড়িঘর। এখনও অসংখ্য মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের উদ্ধারকর্মীদের পরিসংখ্যান ও দামেস্ক সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় কমপক্ষে ১ হাজার ৪৪৪ জন নিহত ও আরও প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছে দেশটির উদ্ধারকারীরা। মঙ্গলবার সকালের দিকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস