ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্য সফরে যান। এ সফরে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর ফ্রান্সের প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গেও দেখা করেন জেলেনস্কি। তাদের কাছে যুদ্ধবিমান সহায়তা চান তিনি।

জেলেনস্কির এ সফরের দিন যুক্তরাজ্য নতুন করে রাশিয়ার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরমধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত সাবেক প্রেমিকা স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখ।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি জানিয়েছেন নতুন করে রাশিয়ার একটি ড্রোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান এবং একটি এভিয়েশন সফটওয়্যার কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তারা। আর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখের ওপর।

স্বেতলানা একজন রাশিয়ার নাগরিক। ১৯৯০ সালের দিকে তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন। এরপর সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। রাশিয়ার অনুসন্ধানমূলক ওয়েবসাইট প্রোয়েক্টের তথ্য অনুযায়ী, স্বেতলানার মেয়ে লুইজার বাবা হলেন পুতিন।

যদিও পুতিন কখনো প্রোয়েক্টেরের এ দাবির ব্যাপারে মন্তব্য করেননি। এমনিতে পুতিনের দুই মেয়ের ব্যাপারে জানা যায়। তারাও অবশ্য খুব বেশি একটা প্রকাশ্যে আসেন না।

২০২১ সালে ফাঁস হওয়া প্যান্ডোরা পেপার্সের তথ্য অনুযায়ী, পুতিন ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর  স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখের সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তিনি ২০০৩ সালে মোনাকোতে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে একটি বিলাশবহুল ফ্লাট কেনেন। ওই বছরই  তার মেয়ের জন্ম হয়। দাবি করা হয়, ওই মেয়ের বাবা পুতিন।

স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখ বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক রুশিয়ার অংশীদার হন। এছাড়া ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের বড় একটি অংশ কিনে নেন। তার মালিকানাধীন এই মিডিয়া গ্রুপ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য।

স্বেতলানা ছাড়াও ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল উদ্যোক্তা অধিকার কমিশনার বরিস তিতোভের ওপর।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই