ইউক্রেনে প্রায় এক বছর ধরে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। শনিবার মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন।

সাবেক মার্কিন প্রসিকিউটর হ্যারিস বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রমাণগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। আমরা মানসম্মত আইনের ব্যাপারে জানি এবং এতে কোন সন্দেহ নেই যে ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ।

‘এবং যারা এসব অপরাধ করেছে এবং তাদের ঊর্ধ্বতনরা যারা এই অপরাধে জড়িত তাদের আমি বলছি, আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নেতৃত্বে আইনি বিশ্লেষণ শেষে দেশটির সরকার যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, তাতে চলমান যুদ্ধের কোনও তাৎক্ষণিক পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও বিচ্ছিন্ন এবং আন্তর্জাতিক আদালত ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তার সরকারের সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আইনি প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন এই সিদ্ধান্ত সহায়তা করতে পারে বলে ওয়াশিংটন আশাপ্রকাশ করেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মূল্যায়ন করতে মিউনিখে পশ্চিমা জ্যেষ্ঠ নেতারা নিরাপত্তা সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন। সেই সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করেছেন কমলা হ্যারিস।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর জন্য বাইডেন নেতৃত্বাধীন জোটের শাস্তির পর রাশিয়া বর্তমানে ‘দুর্বল’ একটি দেশে পরিণত হয়েছে। তবে রাশিয়া কেবল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আক্রমণ তীব্র করেছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। যার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও বেশি, ভারী এবং দূরপাল্লার অস্ত্র চাইছে ইউক্রেন।

প্রায় বছরব্যাপী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আরও লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। চলমান এই যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘পুতিন যদি মনে করেন, তিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তাহলে তিনি অত্যন্ত ভুল করছেন। সময় তার পক্ষে নেই।’

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস