রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার সেনাদের সহায়তা করছে না মূল সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও জেলখাটা দাগী আসামীদের নিয়ে প্রিগোজিন তৈরি করেছেন ওয়াগনার গ্রুপ। যারা ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রিগ্রোজিনের এ বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও ওয়াগনারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। যদিও ক্রেমলিন এটি উড়িয়ে দিয়েছে।

সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের একহাত নিয়ে প্রিগোজিন মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক অডিও বার্তায় বলেছেন, ‘মস্কোর চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছে, ওয়াগনারকে কোনো ধরনের অস্ত্র না দিতে। শুধু তাই নয়, আকাশ পরিবহণেও সহায়তা করছে না তারা।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘বর্তমানে সরাসরি দ্বন্দ্ব চলছে। এটি ওয়াগনারকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টার চেয়ে কম না। এটি বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।’

প্রিগোজিন অভিযোগ করেছেন, ওয়াগনার সেনাদের পরিখা খননের শাবল পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।

পুতিনের বেশ কাছের লোক ইয়েভগিনি প্রিগোজিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই এর পক্ষে সাফাই গেয়ে আসছেন। এছাড়া প্রায়ই রাশিয়ার মূল সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করেছেন। প্রিগোজিন এমনও অভিযোগ করেছেন, ওয়াগনার সেনারা যেসব সাফল্য পাচ্ছে সেগুলো নিজেদের সাফল্য হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রুশ কমান্ডাররা। এছাড়া ইউক্রেনে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের কোনো সাফল্য না পাওয়ায়ও সেনা কমান্ডারদের সমালোচনা করেছেন তিনি।

প্রিগোজিন এমন গুরুতর অভিযোগ করার পর এ নিয়ে কথা বলেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া সব পক্ষকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রিগোজিনের নাম উচ্চারণ না করে তারা বলেছে, নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। যা শত্রুদের কাজ।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই