ফাইল ছবি (দ্য হিন্দু)

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি শরণার্থী। প্রতিবেশী এই দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এসব শরণার্থী মিজোরামের বিভিন্ন অংশে আশ্রয় নেন।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এবং ডেকান হেরাল্ড। এদিকে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিকও মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ৩১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শরণার্থী মিজোরামের বিভিন্ন অংশে আশ্রয় নিয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই ভারতীয় রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৫০ জন এবং বাংলাদেশ থেকে সেখানে গেছে ৫৪১ জন।

বাংলাদেশি নাগরিকদের রাজ্যটির লংটলাই জেলার আটটি গ্রামে স্থাপিত ১৬০টি অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

দ্য হিন্দু বলছে, মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের বেশিরভাগই দেশটির চিন প্রদেশের বাসিন্দা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে বিভিন্ন সময় পালিয়ে তারা উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যটিতে আশ্রয় নেন।

মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের ৫১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ৩১৮ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে।

মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালচামলিয়ানা সম্প্রতি বিধানসভাকে জানিয়েছেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য ত্রাণ ব্যবস্থার অংশ হিসাবে রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিরও বেশি অর্থ ছাড় করেছে।

টিএম