ইউক্রেনে গত বছর রাশিয়ার সেনাবাহিনী হামলা করার পরই বদলে যায় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিশ্বের পাওয়ার হাউজগুলো।

আর এ বিভক্তি ও মস্কোর ‘কোনো ছাড় না দেওয়ার’ মানসিকতার কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক বছর পেরিয়ে দুই বছরে পা দিয়েছে। তবে এখন যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে কিছু দেশ। তারই অংশ হিসেবে এবার চীনের সাহায্য চাইতে বেইজিং যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

শনিবার ফ্রান্সে একটি কৃষিপণ্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে ‘এপ্রিলের শুরুতে’ চীন সফরে যাওয়ার কথা জানান ম্যাক্রোঁ।

তিনি বলেছেন, ‘চীন শান্তি প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসছে এটি খুবই ভালো।’ ম্যাক্রোঁ জোর দিয়ে বলেছেন, ‘শান্তি তখনই সম্ভব যখন রাশিয়ার আগ্রাসন থেমে যাবে, সৈন্যরা চলে যাবে এবং ইউক্রেনের অখণ্ডতাকে সম্মান জানানো হবে।’

‘রাশিয়া যেন কখনো ক্যামিকেল ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে এবং শান্তি আলোচনার পূর্ব শর্ত হিসেবে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে… সেই চাপ দিতে চীনকে আমাদের অবশ্যই সহায়তা করা উচিত।’ যোগ করেন ম্যাক্রোঁ।

এদিকে যুদ্ধের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছে চীন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের এক বছর পূর্তির দিন ১২ দফার একটি শান্তি প্রস্তাব দেয় শি জিনপিং প্রশাসন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও চীনের শান্তি প্রস্তাবকে প্রথমে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়েক এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোও বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাবকে উড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্র:  আল জাজিরা

এমটিআই