ফাইল ছবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাশিয়ার পাশে রয়েছে প্রতিবেশী বেলারুশ। আর এরই জেরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামাসহ বিভিন্ন সময়ই নানা ধরনের হুমকি দিয়ে এসেছে দেশটি।

এই অবস্থায় নতুন তথ্য সামনে এনেছে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার এই ছোট মিত্র দেশটি। দেশটি বলছে, বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর বাইরে প্রায় ১৫ লাখ সম্ভাব্য সেনা রয়েছে তাদের। বেলারুশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে চলা যুদ্ধ ইস্যুতে বছরজুড়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বেলারুশিয়ান অঞ্চল থেকে আক্রমণ করতে দেওয়া এবং রাশিয়াকে বেলারুশে সদ্য অন্তর্ভুক্ত সেনাদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।

এছাড়া লুকাশেঙ্কো চলতি মাসে দেড় লাখ সদস্য সম্বলিত একটি নতুন স্বেচ্ছাসেবী আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেলারুশে আক্রমণ হলেই কেবল তার সেনাবাহিনী যুদ্ধ করবে।

বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বেলটা’র তথ্য অনুযায়ী, দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের স্টেট সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভলফোভিচ বলেছেন- এই ধরনের সংস্থাগুলোর কাঠামো সামরিক বাহিনীর মতো হবে না। নতুন স্বেচ্ছাসেবী আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর আকার হবে দেড় লাখ সদস্য পর্যন্ত এবং সামরিক শাসনের ঘোষণা ও অর্থনীতিকে যুদ্ধের মতো অবস্থায় পরিবর্তন করা হলে সেই পরিস্থিতিতে তারা কাজ করবে।

রয়টার্স বলছে, বেলারুশের জনসংখ্যা প্রায় ৯৩ লাখ। ২০২২ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ মিলিটারি ব্যালেন্স এর তথ্য অনুসারে, বেলারুশের পেশাদার সেনাবাহিনীতে প্রায় ৪৮ হাজার সৈন্য এবং প্রায় ১২ হাজার সীমান্তরক্ষী রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ইউরোপের দীর্ঘতম শাসক। গত ২৮ বছর ধরে তিনি বেলারুশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বেলারুশিয়ান এই প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন তাকে ২০২০ সালে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের পরও টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল।

এছাড়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থনের জন্য সাবেক এই সোভিয়েত রাষ্ট্রের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ বিলিয়ন ডলার মূল্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

টিএম