ফাইল ছবি

ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে সংস্থাটিতে অন্য সবকিছুর চেয়ে যেন ছাঁটাইটাই নিয়মিত হচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরের শেষে মালিকানা হাতে নেওয়ার পর ৭ দফায় ছাঁটাই দেখেছে টুইটার।

আর এবার অষ্টম দফায় আরও কয়েক ডজন কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে ইলন মাস্কের টুইটার। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শেষের দিকে ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা হাতে নেওয়ার পর সর্বশেষ অষ্টম দফায় কয়েক ডজন কর্মচারীকে ছাঁটাই কারার খবরটি সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আমেরিকান প্রযুক্তি শিল্প-কেন্দ্রিক ব্যবসা প্রকাশনা দ্য ইনফরমেশন।

এতে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের টুইটার থেকে শনিবার এই ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক প্রকাশনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবারের এই চাকরি ছাঁটাই টুইটারের একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং দলকে প্রভাবিত করেছে। যার মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি, প্রধান টুইটার অ্যাপ, সেইসাথে টুইটারের সিস্টেমগুলোকে চালু রাখার জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামোসহ অন্য বিভাগও রয়েছে।

টুইটার অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এরপর নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং টুইটারে আমূল পরিবর্তনের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন এই ধনকুবের।

টুইটার কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই নভেম্বরের শুরুতে মাস্কের প্রথম কয়েকটি সিদ্ধান্তের একটি ছিল টুইটারের সাড়ে ৭ হাজার কর্মীর মধ্যে ৫০ শতাংশকে বরখাস্ত করা। খরচ কমানোর অজুহাতে সেসময় তিনি ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেন।

টুইটারের মালিক সেসময় বলেন, সংস্থার রাজস্ব কমে গেছে। অন্যদিকে বেড়েছে খরচ। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় দরকার। দরকার ভারসাম্য বজায় রাখার। প্রথম দফায় এক সঙ্গে এতজনের চাকরি যাওয়ায় একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল, আপাতত আর কর্মী সংকোচনের রাস্তায় যাবেন না ইলন মাস্ক। তবে কিছুদিনের মধ্যে সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।

ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন এই ধনকুবের টুইটারের বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং বিভাগে কর্মী ছাঁটাই করেন। সে দফায় চাকরি যায় ৮০০ জনের। সেসময় কার্যত দু’টি দপ্তর ফাঁকা হয়ে যায়।

টিএম