ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করে ন্যাটো

একসময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনে (ন্যাটো) দীর্ঘমেয়াদী সদস্যপদ পাবে ইউক্রেন; তবে আপাতত এখন ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করে এই জোট।

ন্যাটোর মহাসচিব ও শীর্ষ নির্বাহী জিনস স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র ফিনল্যান্ড সফরে গেছেন। রাজধানী হেলসিংকিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জোটের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে কি-না এবং পেলে কবে নাগাদ পাবে। জবাবে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটোর সদস্যরা ইউক্রেনকে জোটসঙ্গী হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু একই সঙ্গে বাস্তবিক অর্থে এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার।’

‘কারণ এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো— একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ইউক্রেন তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে কি-না। এ কারণে আমাদের এখন প্রয়োজন ইউক্রেনকে সহায়তা করা।’

২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ হারানোর পর থেকেই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির করে যাচ্ছে ইউক্রেন। ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর ন্যাটোর পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদন করে জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন সরকার।

ওই বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ইউরোপের দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদের জন্যও আবেদন করেছিল ইউক্রেন। রুশ বাহিনী অভিযান শুরুর পর দেশটিকে ইইউর সদস্যপ্রদপ্রার্থীর মর্যাদা দেয় ইইউ।

সংবাদ সম্মেলনে এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে দায়ী করে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং শান্তি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা তার নেই; বরং যুদ্ধ কী করে আরও তীব্র করা যায়— সেই পরিকল্পনা করছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘একদিন ইউক্রেন ন্যাটো এবং ইইউ— উভয়েরই সদস্য হবে। এটাই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ।’

এসএমডব্লিউ