অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা ব্যবহার অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (১৭ মার্চ) সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা এই আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে টিকা নেওয়ার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখাসহ টিকা নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর প্রায় ৪০ জনের শরীরে রক্ত জামাট বাঁধার ঘটনা সামনে আসে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপের এক ডজনেরও বেশি দেশ টিকা প্রয়োগ স্থগিত করে। তবে ডব্লিউএইচও, ইউরোপিয়ান মেডিকেল এজেন্সি (ইএমএ) এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা নিজেও বারবার বলছে যে, তাদের করোনা টিকা নিরাপদ।

বুধবারও ডব্লিউএইচও’র ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মনে করি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়া উচিত এবং এর উপকারিতা অনেক বেশি।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি জানায়, ‘এখন পর্যন্ত (টিকার বিষয়ে) আমাদের হাতে থাকা তথ্যগুলো আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। তবে এই মুহূর্তে ডব্লিউএইচও মনে করে- টিকা নেওয়ার বিষয়ে যে ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে, এর চেয়ে টিকা নেওয়ার উপকারিতাই বেশি। আর তাই, টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে একই কথা জানায় ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। টিকা নেওয়ার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে সেসময় টিকা প্রয়োগের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানায় সংস্থাটি।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন এক বৈঠকে বসছে আমস্টারডামভিত্তিক একটি সংস্থা। এছাড়া ফ্রান্স, ভেনেজুয়েলা ও ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ আর এই টিকা ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছে।

ইইউভুক্ত দেশ এবং যুক্তরাজ্যের এক কোটি ৭০ লাখ মানুষকে এখন পর্যন্ত অ্যাস্টাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে ৪০টিরও কম ক্ষেত্রে। অবশ্য কেবল ব্রিটেনেই এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে ব্রিটিশ-সুইডিশ এই কোম্পানির টিকা দেওয়া হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত রক্ত জমাট বাঁধা বা এ সংক্রান্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

সূত্র: এএফপি

টিএম