ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

পুতিন ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সেভনা লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক শিশুদের রাশিয়ায় নিয়ে গেছেন তারা এবং ওই শিশুদের রাশিয়ানদের কাছে দত্তক দিয়েছেন। যুদ্ধের সময় জোর করে কাউকে দেশান্তরিত করা যুদ্ধাপরাধের সামিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে ১৬ হাজারেরও বেশি শিশুকে নিয়ে গেছে। প্রথমে তাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নেওয়ার কথা চিন্তা করা হলেও, এখন অনেক শিশুকে রাশিয়ান পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে তাদের ইউক্রেনে ফিরে আসার পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

পুতিনের ওপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো প্রভাব পড়বে?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও, এটি কার্যকরের সম্ভাবনা এখন নেই।

রাশিয়ায় বর্তমানে পুতিনের একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে। এর অর্থ, আইসিসির হাতে পুতিনকে রাশিয়া তুলে দেবে না। তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ায় আছেন ততক্ষণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার কিছুই হবে না।

কিন্তু তিনি যদি রাশিয়া ছাড়েন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এ কারণে এখন পুতিনকে তার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে কিছুটা বিধিনিষেধ আনতে হবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবং যেসব দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে সেসব দেশে যাবেন না পুতিন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শুধুমাত্র এই একটি প্রভাবই পড়বে রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর।

এছাড়া কোনো দেশ পুতিনকে গ্রেপ্তার করে আইসিসির হাতে তুলে দেবে এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই।

২০০৯ সালের দক্ষিণ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পরোয়ানা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন তিনি। কিন্তু কূটনৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করে কোনো দেশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি।

এমটিআই