বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৫ মিটার) স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ২ হাজার ৯ দশমিক ৭৩ ডলারে; অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ১১ হাজার ৫৯০ টাকা ৬৯ পয়সায়। সোমবার এই দামেই যুক্তরাজ্যে কেনা-বেচা হয়েছে স্বর্ণ।

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণকারী ব্রিটেনভিত্তিক বিভিন্ন সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ভারতীয় উপমহাদেশের বাজারে স্বর্ণ ক্রয় বিক্রয়ের জন্য পরিমাপক হিসেবে ‘ভরি’ বা ‘তোলা’ স্বীকৃত হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের স্বীকৃত একক আউন্স। ১১ দশমিক ৬৬ গ্রামকে এক ‘ভরি’ হিসেবে ধরা হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত এক বছরে প্রথমবারের মতো এই পর্যায়ে পৌঁছাল স্বর্ণের দাম। এর আগে সর্বশেষ দাম বেড়েছিল শুক্রবার। ওই দিন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯৫৫ ডলার বা ২ লাখ ৫ হাজার ৮২২ টাকায়। তারপর সোমবার ঘটল এই মূল্যবৃদ্ধি। শতকরা হিসেবে তিন দিনের ব্যবধানে দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের দাম।

তবে স্বর্ণের দামের সাম্প্রতিক এই উল্লম্ফণের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়েও বেশি দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক কয়েকটি বৃহৎ ব্যাংকের পতন। গত ১০ মার্চ ধসে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি), তার তিন দিনের মধ্যে একই পরিণতি ঘটে দেশটির অপর ব্যাংক সিগনেচারের ক্ষেত্রেও। এদিকে, সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম ব্যাংক ক্রেডিট সুইসে বিপর্যয়ের কারণে সোমবার ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ারের দামও কমে গেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা কিনেসিসের বিশ্লেষক রুপার্ট রাউলিং এএফপিকে বলেন, ‘গণহারে গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়াই ব্যাংকগুলোর পতনের জন্য প্রধানত দায়ী। স্বর্ণের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে এই ব্যাপারটি। নিজেদের সঞ্চিত অর্থ নিরাপদ রাখতে সমানে স্বর্ণ কিনছে লোকজন, ফলে বাজারে ডলার আসছে বন্যার মতো; স্বর্ণের দামও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে।

এসএমডব্লিউ