প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দূর্ঘটনায় দ্রুত সময়ে উদ্ধারকাজ চালাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার পুরো বিশ্বেই বেড়েছে। তবে এদিক দিয়ে সবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি।

উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার করার জন্য আবুধাবি নিয়ে এসেছে উড়ন্ত বাইক। গত ১৩ মার্চ ইয়াস বেতে উড়ন্ত বাইকটি প্রদর্শন করা হয়।

বাইকটি তৈরি করা হয়েছে শক্তিশালী কার্বন ফাইবার দিয়ে। যেটি দুর্গম ও রুক্ষ অঞ্চলে অনায়াসে যেতে পারবে। এটি উদ্ধার অভিযান, অনুসন্ধানমূলক কাজে একটি কার্যকরী জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রের কাজ করবে। এছাড়া ভূ-স্থানিক ম্যাপিংয়েও এটি সহায়ক হবে।

উড়ন্ত এ বিশেষ বাইকটি তৈরি করেছে বায়নাত নামের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত একটি পোস্টে বায়নাত জানিয়েছে, এয়ারউইনস টেকনোলোজির সঙ্গে যৌথভাবে তারা এটির ডিজাইনসহ যাবতীয় কাজ করেছে।

এই উড়ন্ত বাইকটি তৈরি করা হয়েছে অবকাঠামোবিহীন পরিবহনের বিষয়টি মাথায় রেখে। বলা হচ্ছে এটি জীবন রক্ষাকারী পরিস্থিতি— যেমন মরুভূমি, লেক, উপসাগরে অনুসন্ধান এবং জরুরি পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া আকাশে তথ্য সংগ্রহ এবং ড্রোনের সঙ্গে কাজ করতে ব্যবহার করা যাবে।

বাইকটি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান আরও দাবি করেছে, কেউ এটির মতো দ্বিতীয় কোনো বাইক বানাতে পারবে না। কারণ এটির স্থিতিশীল নিয়ন্ত্রণ তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এছাড়া এনক্রিপ্ট করা গোপন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই বাইকটির তথ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

কীভাবে বাইকটি তৈরি করা হয়েছে

একদল দক্ষ প্রকৌশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এ বিশেষ বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। এটি নির্মাণের সঙ্গী ছিলেন প্লে-স্টেশন, মহাকাশ, বিমান এবং মোটরযানের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা।

বিমান ও মহাকাশ যানে যে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করা হয় এই বাইকেও একই ফাইবার ব্যবহৃত হয়েছে। বাইকটির ওজন মাত্র ৩০০ কেজি। আর এটি ১০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। মাত্র একটি জ্বালানি ট্যাংক নিয়ে বাইকটি ৮০ কিলোমিটার গতিতে ৪০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে। এছাড়া এটি মাটি থেকে ২০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে।

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে, ২৭০ হর্স পাওয়ারের টার্বো চার্জড-৪ স্ট্রোক কাওয়াসাকি গ্যাসোলিন মোটর বাইক রেসিং ইঞ্জিন। এটির ওজন রাখা হয়েছে ৭০ কেজিতে। বাইকটি আকাশে উড়ন্ত ও স্থিতিশীল রাখতে যুক্ত করা হয়েছে চারটি পাখা।

সূত্র: খালিজ টাইমস

এমটিআই