কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়ার মাঝে একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার উত্তর কোরিয়ার পূর্ব সাগরে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পূর্ব সাগরে উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে।

পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র পরীক্ষা ও ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকির রেকর্ড-ভাঙা বছরের পর সিউল এবং ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। গত ১৩ মার্চ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া।

ফ্রিডম শিল্ড নামের এই মহড়া কমপক্ষে ১০ দিন ধরে চলবে জানিয়েছে উভয় দেশের সামরিক বাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, তারা দৃঢ় যৌথ প্রতিরক্ষা শক্তি প্রদর্শনে পরিকল্পিত ‘ফ্রিডম শিল্ড’ মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন করবে।

তবে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের সব মহড়াকে আক্রমণের অনুশীলন হিসেবে দেখে জানিয়ে বলেছে, সিউল-ওয়াশিংটনের এসব মহড়াকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে দেখতে পারে পিয়ংইয়ং। শুধু তাই নয়, এর জবাবে বারবার ‘অপ্রতিরোধ্য’ পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

চলতি বছর দ্বিতীয় বারের মতো পিয়ংইয়ং তার বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালানোর প্রায় এক সপ্তাহ পর বুধবার একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। উত্তরের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আইসিবিএম উৎক্ষেপণকে মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান উসকানিমূলক মহড়ার ‘প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এর আগে, গত বছর উত্তর কোরিয়াকে ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। সম্প্রতি দেশটির সামরিক বাহিনীকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে একটি ‘প্রকৃত যুদ্ধের’ প্রস্তুতির জন্য মহড়া জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন।

সূত্র: এএফপি।

এসএস