বৈশ্বিক টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গত বছর ডলারের হিসেবে সম্পদের সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন বিশ্বজুড়ে খুচরা বিক্রেতা অনলাইন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ভারতের অন্যতম দুই ধনকুবের গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি একত্রে যে পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছেন জেফ বেজোসের সম্পদ হারানোর পরিমাণ তার তুলনায় বেশি।

বুধবার বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুরুন গ্লোবাল। এতে বলা হয়েছে, গত বছর ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানির একত্রে হারানো সম্পদের তুলনায় বেশি হারিয়েছেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার জেফ বেজোস।

২০২২ সালে জেফ বেজোস প্রায় ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত সম্পদ হারিয়েছেন। তার বিপরীতে মুকেশ আম্বানি ২১ বিলিয়ন এবং গৌতম আদানি ও তার পরিবার হারিয়েছেন ২৮ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর সম্পদ হারানো ধনকুবেরদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছর তার সম্পদ কমেছে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের।

ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা, রকেট উৎপাদনকারী স্পেসএক্স ও টানেল স্টার্টআপ বোরিং কোম্পানিসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।

আর সার্চ ইঞ্চিন জায়ান্ট গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন ৭২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক। গত বছর এই ধনকুবের হারিয়েছেন প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। গুগলের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ৭৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকলেও গত বছর ৪১ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন তিনি।

জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কট গত বছর ৩৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছেন। অন্যদিকে, নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি হওয়া ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি ও তার পরিবারের গত বছর ২৮ বিলিয়ন সম্পদের পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে গৌতম আদানি ও তার পরিবারের সম্পদ পরিমাণ ৫৩ বিলিয়ন ডলার।

আদানি গ্রুপের বন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সবুজ জ্বালানি ও অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে। আর মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জ্বালানি অনুসন্ধান এবং উৎপাদন, পেট্রোলিয়াম পরিশোধন ও বিপণন, পেট্রোকেমিক্যাল এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবসা রয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস