ইহুদিবাদী ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের সংসদ। ইসরায়েলের উগ্রপন্থী অর্থমন্ত্রী বিজালেল স্মোরিচ গত রোববার মন্তব্য করেন, ‘ফিলিস্তিনি বলতে কিছু নেই, কারণ ফিলিস্তিনের নাগরিকের কোনো অস্ত্বিত্ব নেই।’

উগ্রপন্থী স্মোরিচের এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে জর্ডান। এর জবাবে নিজেদের মাটি থেকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের চিন্তা-ভাবনা করছে দেশটি। এ নিয়ে বুধবার (২২ মার্চ) দেশটির সংসদে ভোটাভুটি হয়।

স্মোরিচ এমন বিতর্কিত মন্তব্য করার সময় তার সামনে যে মঞ্চ ছিল সেখানে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ নামের একটি মানচিত্র লাগানো ছিল। ওই মানচিত্রে দেখা যায় দখলকৃত ফিলিস্তিনের সব অঞ্চল, জর্ডান এবং সিরিয়ার কিছু অংশকে কথিত বৃহত্তর ইসরায়েলের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে বেশি ক্ষীপ্ত হয়েছে জর্ডান। এমন মানচিত্র সামনে আসার পর পরই ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে প্রতিবাদ জানায় তারা।

তবে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। যেটি আপাতত করবেন না রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ।

ইসরায়েলের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশে এর আগে ২০২১ সংসদে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন জর্ডানের আইনপ্রণেতারা।

উগ্রপন্থী স্মোরিচের এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসরসহ আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ।

স্মোরিচের বক্তব্য ও মানচিত্র প্রদর্শনের জেরে জর্ডানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির পর পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলে জর্ডানের সঙ্গে হওয়া ১৯৯৪ সালে শান্তি চুক্তি রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি, যেটি হাসমিতে রাজ্যের ভৌগলিক অখণ্ডতাকে স্বীকৃতি দেয়।’

এদিকে ইসরায়েলি এক কূটনীতিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় জর্ডানের সঙ্গে ইসরায়েলের সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কূটনৈতিকভাবে এখন আম্মানকে শান্তির বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই