মার্কিন মুলুকে খালিস্তানপন্থি বিক্ষোভকারীদের হাতে ভারতীয় সাংবাদিকের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, নিগৃহীত সাংবাদিকের নাম ললিত কুমার ঝা। তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের মার্কিন করেসপন্ডেন্ট

সম্প্রতি এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। সাংবাদিক ললিত ঝা নিজে এই হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানান। 

ললিত ঝা লেখেন, ‌‘আজ আমাকে রক্ষা করার জন্য এবং আমার কাজ করতে দেওয়ার জন্য সিক্রেট সার্ভিসকে ধন্যবাদ। সিক্রেট সার্ভিস না হলে হয়ত আজ আমি হাসপাতাল থেকে এই রিপোর্টটা লিখতাম। ভিডিওর এই ব্যক্তি আমাকে লাঠি দিয়ে কানের নীচে দুই বার আঘাত করেন। এরপর আমি ৯১১ তে (মার্কিন মুলুকে জরুরি পরিষেবা) কল করি। পুলিশ আসে এবং আমাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।’

এদিকে ললিত কুমার ঝায়ের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক বিক্ষোভকারী নিজের ছবি তোলার বিষয়ে আপত্তি জানান। সেই খালিস্তানপন্থি বিক্ষোভকারী সাংবাদিককে বলেন, ‘তুমি ভারত সরকারকে গিয়ে রিপোর্ট করো।’ সেই সময় অপর এক বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘ওকে বলো যে তার দেশে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার রয়েছে। ... ভিডিও তুলতে থাকো।’ 

সেই নিগৃহীত সাংবাদিক পরে সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘অমৃতপাল সিংয়ের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তারাঞ্জিত সিং সান্ধুকে হুমকি দেয়। তারা প্রকাশ্যে দূতাবাস ভাঙচুরের হুমকি দেয়।’ এদিকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আইন প্রণেতা রো খান্না। 

তিনি এই হামলাকে ‘সাংবাদিকতার ওপর হামলা’ আখ্যা দিয়ে ললিত ঝায়ের ভিডিও রিটুইট করেন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেও বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে খালিস্তানন্থি শিখ সংগঠনের সদস্যরা সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনসুলেটের সামনে তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। এদিকে ভারতে খালিস্তানপন্থি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে এখনও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে ব্রিটেনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে খালিস্তানপন্থি বিক্ষোভকারীরা। লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরেও তাণ্ডব চালিয়ে জাতীয় পতাকা পর্যন্ত নামিয়ে দেওয়া হয়। কানাডা ও আমেরিকাতেও খালিস্তানপন্থিরা ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে।

এমএ